যেমনটিকে আপনারা সকলে জানেন মাধ্যমিক পরীক্ষা আমাদের সকলের জীবনের প্রথম ধাপের সিঁড়ি পরীক্ষা বলে মান্য করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ গঠনের শুরু করি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা এই ধারণা পেয়ে যাই যে আমরা কোন বিষয় নিয়ে পড়তে চলেছি আমাদের ভবিষ্যতে।
একনজরে
মাধ্যমিক পরীক্ষা পশ্চিমবঙ্গে এই নামেই পরিচিত। অন্যান্য জায়গায় এই পরীক্ষাটি Class 10th এক্সাম নামে প্রচলিত। মাধ্যমিক বললেই আমাদের সকলের মনে পড়ে, ক্লাস 9 এর পরের ক্লাস 10 পরীক্ষা।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনা মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাই অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি আপনারা আপনাদের পরিচিত এমন কোন ছাত্র বা ছাত্রী যারা মাধ্যমিক দিতে চলেছে তাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
মাধ্যমিকে স্টার মার্কস কত
WBBSE মাধ্যমিক পরীক্ষাতে যদি আপনারা স্টার পেতে চান তাহলে আপনাদের পরীক্ষায় সমস্ত নাম্বারে ৭৫ শতাংশের বেশি নাম্বার তুলতে হবে। আপনাদের জানিয়ে দি ই বর্তমানে মাধ্যমিক পরীক্ষা রেজাল্ট এর ধরন পরিবর্তন করা হয়েছে। স্টারমার্ক এখন মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেওয়া হয় না। স্টারমার্ক আগে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হতো, ২০১৮র পর থেকে এটি বন্ধ করা হয়েছে। এখন স্টারের পরিবর্তে গ্রেড হিসেবে মাধ্যমিকের গণনা করা হয়। আগে ৭৫ শতাংশের বেশি নাম্বার পেলে স্টার পাওয়া যেত, বর্তমানে সেই পরিমাণ নাম্বার পেলে A+ গ্রেড দেওয়া হয়।
আগে যারা স্টার মার্ক পেতো তাদেরকে লেটার ও দেওয়া হতো। এই সমস্ত বিষয়গুলি আপনারা জেনে রাখুন আপনাদেরই সুবিধার্থে। বর্তমানে স্টার ও লেটার দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে তার পরিবর্তে গ্রেড দেওয়া হয়। আগে স্টার পাওয়া খুবই কষ্টকর হত ঠিক তেমনি এখন কার মুহূর্তে A+ গ্রেড পাওয়া খুব কষ্টকর মানা হয়।
স্টার মার্কস কি?
কম্পিউটারে বিজ্ঞানে, তারকাচিহ্নটি একটি প্যাটেনের শূন্য বা তার বেশি পুনরাবৃত্তি বোঝাতে নিয়মিত ব্যবহৃত হয়। এই ব্যবহারটি টিফিন ক্লিনের পরে ক্লিন স্টার বা ক্লিন ক্লোজার নামেও পরিচিত। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ২০১১র আগে পর্যন্ত পুরো নাম্বারের মধ্যে ৭৫% এর বেশি নাম্বার পেলে স্টার দেওয়া হতো। ইউনিফাইড মডেলিং ল্যাংগুয়েজে, তারকা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় শূণ্যকে অনেক শ্রেণীতে বোঝাতে।
1st ডিভিশন মার্ক কি?
১০০ মার্কের পরীক্ষার মধ্যে যদি শিক্ষার্থী ৮০ নিচে কিন্তু ৬০ উপরে পায় তাহলে সে প্রথম বিভাগ অর্থাৎ 1st ডিভিশন মার্ক পাবে। এক্ষেত্রে যদি শিক্ষার্থী শার্ট এর নিচে কিন্তু 45 এর উপরে নাম্বার পেয়ে থাকে তাহলে তাকে দ্বিতীয় ভাগের অন্তর্গত অর্থাৎ 2nd ডিভিশন পাবে। ঠিক একই রকম ভাবে শিক্ষার্থী যদি 45 এর কম এবং পাসিং মার্কসের থেকে বেশি নাম্বার পেয়ে থাকে তাহলে তাকে তৃতীয় ভাগের অন্তর্গত হবে অর্থাৎ 3rd ডিভিশনে পাস করবে। পাশিং মার্কসের নিচে যদি পেয়ে থাকে তাহলে সেই শিক্ষার্থীটি পরীক্ষায় ফেল করবে অর্থাৎ পাশ করতে পারবে না ।
পাসিং মার্ক কিভাবে হিসাব করা হয়?
সাধারণভাবে, প্রধান প্রতিষ্ঠানে মোট নম্বরের পাসিং মার্ক ৩৩% হয়ে থাকে। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে পাশিং মার্ক্স ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২৫ পেলে পাস।মোট ৭০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হতে ন্যূনতম ২৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। অর্থাৎ একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ন্যূনতম ১৭৫ নম্বর প্রয়োজন।
30 এর পাস মার্ক কত?
সাধারণত, শিক্ষার্থীরা ৩০ নাম্বারের পরীক্ষায় ৯ পেলে পাস করে। যদি এটি চল্লিশ শতাংশের হয় তবে পরীক্ষায় পাস করার জন্য শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ১২ নম্বর পেতে হবে। ঠিক একই রকম ভাবে ৫০ শতাংশ হলে শিক্ষার দিকে ১৫ নাম্বার পেতে হবে। মনে রাখবেন, প্রতিটি শূন্য একশো দ্বারা বাতিল হয়ে যাবে।