উচ্চ মাধ্যমিক নতুন সেমিস্টার প্রশ্ন প্যাটেনের সম্পূর্ণ নতুন সিলেবাস এ ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষক মহাশয়দের অনেক অসুবিধা হচ্ছে, যে নতুন কিভাবে পরীক্ষা এবং প্রশ্নপত্র হবে। সেই কথা ভেবেই পশ্চিমবঙ্গ কাউন্সিল অফ হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন ( WBCHSE ) উচ্চ মাধ্যমিকের নতুন সেমিস্টার সিস্টেম এর জন্য এক দারুন খবর নিয়ে এলো।
একনজরে
এবার সেমিস্টার ভিত্তিক সিলেবাস এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা মডেল প্রশ্নপত্রেই বই। এই মডেল প্রশ্নপত্র বইগুলি ছাত্রছাত্রীরা খুলের মারফত পাবে। কিভাবে বইগুলো পাবে? কোথায় যোগাযোগ করতে হবে? কত টাকা মুদ্রণ মূল্য লাগবে – এই সমস্ত কিছু জানবো আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
উচ্চ মাধ্যমিক সেমিস্টার মডেল প্রশ্নপত্র : কিভাবে বইগুলো পাওয়া যাবে ?
সমস্ত বিভাগ আর্স, সাইন, কমার্স এই বইগুলো তিনটি সেটে পাওয়া যাবে যথাক্রমে – সেট ১, সেট ২ সেট ৩। প্রতিটি সেটের দাম মাত্র ২৫০ টাকা। অর্থাৎ একজন ছাত্র-ছাত্রী আড়াইশো টাকা দিলেই তার বিভাগীয় সমস্ত বিষয় পেয়ে যাবে। তোমাদের আর বাইরে থেকে অন্য কোন বিষয়ের বই কিনতে হবে না।
বইগুলো ১৬ ই আগস্ট ২০২৪ থেকে কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের সেলস কাউন্টার এবং চারটি আঞ্চলিক অফিস ( কলকাতা, মেদিনীপুর, বর্ধমান ও উত্তরবঙ্গ ) থেকে পাওয়া যাবে।
HS Semester Model Question Book ( উচ্চ মাধ্যমিক সেমিস্টার মডেল প্রশ্নপত্র ) কিভাবে বই কিনতে পারবেন ?
যদি শুধুমাত্র একক ভাবে বই কেনা হয় তাহলে সরাসরি নগদ দিলেই কেনা যাবে। কিন্তু যদি আপনি বা আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একসাথে ২০০০ টাকার বেশি মূল্যের বই কিনতে চান, তাহলে NEFT/RTGS এর মাধ্যমে অর্থ ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে। এরপর টাকা জমা দেওয়ার ক্লিপ সংগ্রহ করে সেটি সংশ্লিষ্ট অফিসের কাউন্টার রে দেখাতে হবে।
অথবা ছাত্রছাত্রীরা চাইলে বই কেনার মূল্য সরাসরি স্কুলে জমা করে, হেডমাস্টার মহাশয় এর কাছ থেকেও বই সংগ্রহ করে নিতে পারে। কারণ প্রতিটি স্কুল মডেল প্রশ্নপত্র অবশ্যই কিনবে এবং সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদেরও কপি দ্বারা কিনে দেবে।
আরো পড়ুন :- সরকারি প্রকল্পে সুপারভাইজার নিয়োগ, মাসিক বেতন ২২ হাজার টাকা
যেসব বিষয়ে মডেল প্রশ্ন পত্র বইগুলিতে থাকবে না, সেগুলো আপনি ওয়েবসাইটের ডাউনলোড সেন্টার থেকে পেতে পারবেন। এই নতুন পদক্ষেপ ের ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি আশ্বাস জাগলো। যার ফলে তারা যে চিন্তায় ছিল কিরকম প্রশ্ন হতে চলেছে এই সেমিস্টার সিস্টেমের মাধ্যমে তা জানতে পারবে এবং ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে। শিক্ষক ও শিক্ষিকা দের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর জন্য খুবই সাহায্য হতে চলেছে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে।